২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে
তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০ বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যেটি রূপকল্প
২০৪১ নামে পরিচিত। রূপকল্প ২০৪১ এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুইটি প্রধান বিষয়-
১. ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে
মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
২. বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।
রূপকল্প ২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। যার সুফলভোগী
হবে জনগণ ও জনগণই হবে প্রবৃদ্ধি ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রধান চালিকাশক্তি। চারটি বিষয়
হল: গণতন্ত্রায়ণ, সুশাসন, বিবেন্দ্রীয়করণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি। বস্তুত এই চারটি ভিত্তির
ওপর স্থাপিত হবে উন্নত জাতি হিসেবে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রা। রূপকল্প
২০৪১ এর উদ্দেশ্যসমূহ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, ২০৩১ অবধি ৯% জিডিপি
প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা, রপ্তানি বৈচিত্র্য অর্জন, রপ্তানি আয় ৩০০ বিনিয়ন ডলার বৃদ্ধি
করা, গড় আয়ু বাড়িযে ৮০ বছর করা, মোট জনসংখ্যার ৭৫% কে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান
করা, ২০৩১ মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি করা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির
হার ১% এর নিচে নামিয়ে আনা, কার্যকর কর ও ব্যয়ের নীতিমালা কার্যকর করা এবং অর্থনৈতিক
ও প্রশাসনিক শক্তির বিকেন্দ্রীয়করণ। রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ
হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক সমৃদ্ধ, সুখী, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জনপদ।
Post a Comment