হুন্ডি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ হুন্ড থেকে উদ্ভুত হয়েছে। আর হুন্ড অর্থ সংগ্রহ করা। হুন্ডি হলো প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির বাইরে অর্থ লেনদেনের একটি উপায়। একে বাণিজ্যিক আদান প্রদান ও লেনদেনের অনানুষ্ঠানিক দলিলও বলা হয়। যার মাধ্যমে দুই জন ব্যক্তি বা দুইটি পক্ষের মধ্যে টাকা লেনদেন হয়। এটি নীতি বহির্ভূত ও দেশের আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। বর্তমানে বৈধ পদ্ধতি এড়িয়ে বিদেশে টাকা পাচার এবং বিদেশ থেকে টাকা আনার কাজে হুন্ডি পদ্ধতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির অনুসরণ হয় না বলে হুন্ডির লেনদেনে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে হুন্ডির উদ্ভব ঘটে মুঘল আমলে। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রদেশগুলোর দূরত্ব ছিলো অনেক বেশি। তাছাড়া পথঘাটও ছিল অনেক বিপদসঙ্কুল ও দুর্গম। প্রদেশগুলো থেকে আদায় করা রাজস্ব দিল্লিতে প্রেরণের জন্য স্থানীয় মহাজনের সাহায্য গ্রহণ করতেন বিভিন্ন প্রদেশের মুঘল প্রশাসকরা। এই স্থানীয় মহাজনদের ছিল ভারতজুড়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক। তারা নিজেদের মধ্যে অর্থ বিনিময় করতেন এক ধরনের স্বীকৃতিপত্র বা দলিলের মাধ্যমে, যাকে তুলনা করা যায় আধুনিক ব্যাংকিংয়ের চেকের সাথে। এই দলিলকেই বলা হতো হুন্ডি। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের জন্য দেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক, দেশের মানি এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি ও বিদেশি ব্যাংকের রেট ভিন্ন ভ্ন্নি। ব্যাংকের বিনিময় হারের তুলনায় হুন্ডিতে ভালো বিনিময়মূ্ল্য পান বলেই প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর দিকে আগ্রহী হন। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট তদন্তে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসার তথ্য ওঠে আসে।
হুন্ডি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ হুন্ড থেকে উদ্ভুত হয়েছে। আর হুন্ড অর্থ সংগ্রহ করা। হুন্ডি হলো প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির বাইরে অর্থ লেনদেনের একটি উপায়। একে বাণিজ্যিক আদান প্রদান ও লেনদেনের অনানুষ্ঠানিক দলিলও বলা হয়। যার মাধ্যমে দুই জন ব্যক্তি বা দুইটি পক্ষের মধ্যে টাকা লেনদেন হয়। এটি নীতি বহির্ভূত ও দেশের আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। বর্তমানে বৈধ পদ্ধতি এড়িয়ে বিদেশে টাকা পাচার এবং বিদেশ থেকে টাকা আনার কাজে হুন্ডি পদ্ধতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির অনুসরণ হয় না বলে হুন্ডির লেনদেনে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে হুন্ডির উদ্ভব ঘটে মুঘল আমলে। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রদেশগুলোর দূরত্ব ছিলো অনেক বেশি। তাছাড়া পথঘাটও ছিল অনেক বিপদসঙ্কুল ও দুর্গম। প্রদেশগুলো থেকে আদায় করা রাজস্ব দিল্লিতে প্রেরণের জন্য স্থানীয় মহাজনের সাহায্য গ্রহণ করতেন বিভিন্ন প্রদেশের মুঘল প্রশাসকরা। এই স্থানীয় মহাজনদের ছিল ভারতজুড়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক। তারা নিজেদের মধ্যে অর্থ বিনিময় করতেন এক ধরনের স্বীকৃতিপত্র বা দলিলের মাধ্যমে, যাকে তুলনা করা যায় আধুনিক ব্যাংকিংয়ের চেকের সাথে। এই দলিলকেই বলা হতো হুন্ডি। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের জন্য দেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক, দেশের মানি এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি ও বিদেশি ব্যাংকের রেট ভিন্ন ভ্ন্নি। ব্যাংকের বিনিময় হারের তুলনায় হুন্ডিতে ভালো বিনিময়মূ্ল্য পান বলেই প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর দিকে আগ্রহী হন। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট তদন্তে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসার তথ্য ওঠে আসে।
Post a Comment