ঘরে বসে আয়ের উপায়

 

কাস্টমার সার্ভিস

বিভিন্ন অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অনেক কর্মীর  প্রয়োজন হয়। কথা বলার দক্ষ হলে বাসায় বসে সহজেই অনলাইনে বিভিন্ন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে কাজ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজিং

কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো প্রতিনিয়ত পোষ্ট করা, কাস্টমারের প্রশ্নের উত্তর দেয়া ইত্যাদি দ্বারা ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করা যায়।

অনলাইন পণ্য বিক্রি

ফেসবুক পেজ বা নিজস্ব ই-কমার্স সাইট খুলে বাসায় বসেই নিজের তৈরি বা অন্য কোনো নিত্য পণ্য বিক্রি করা যায়। সেই সাথে স্বনামধন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স সাইটের ( যেমন: আমাজন, আলিবাবা) পণ্য আপনার ই-কমার্স সাইটে বিক্রি করেও কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করা যায়। এছাড়া ছবি তোলার অভ্যাস থাকলে ঘরে বসেই এ ছবি shutterstock.com, istockphoto, 500px.com ইত্যাদি সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

ফেসবুকিং ও ইউটিউবিং

আকর্ষণীয় বিষয়ে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বা ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। আবার বেশি লাইক বা ফলোয়ার যুক্ত ফেসবুক পেজ বা ফেসবুক গ্রুপ বিক্রি করেও অর্থ আয় করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং/ আউটসোর্সিং

প্রচলিত চাকরির বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করা হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই নিম্নোলিখিত নানা কাজ করা যেতে পারে…

১. অনুবাদের কাজ: বিদেশি ভাষার দক্ষতা থাকলেই অনুবাদক হওয়া সম্ভব। একজন অনুবাদক অনলাইনের মাধ্যমেই সহজে আয় করতে পারেন।

২. কনটেন্ট রাইটি: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তথ্যবিত্তিক লেখার চাহিদা রয়েছে। লেখালেখির আগ্রহ ও সহজ ভাষায় গুছিয়ে লিখতে পারলে কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব।

৩. ডাটা এন্ট্রি: শুধু দ্রুত টাইপ করতে জানলে এ কাজটি করা যায়। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে সাইন আপ করে ক্লায়েন্টদের স্ক্যান করে পাঠনো ডাটা শিট দেখে সেগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করতে হয়।

৪. প্রোডাক্ট রিভিউ: অনলাইনে পণ্য কেনার আগে পণ্যের রিভিউ দেখার চাহিদা থাকায় এখন অনলাইন পণ্যের রিভিউ লিখে ভালো অর্থ আয়ের সুযোগ রয়েছে।

৫. ব্লগিং: ভালো কনটেন্টবিশিষ্ট নিজস্ব ব্লগ থাকলে গুগলের অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য সাইন আপ করা যায়। আর এটি পেলে ব্লগ লিখে ক্লিক ও ভিউয়ের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যথেষ্ট আয় করা সম্ভব।

৬. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং: গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জানা থাকলে অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে আপনার করা ডিজাইনগুলো বিক্রির জন্য রেখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

৭. ভিডিও এডিটিং: ভিডিও এডিটিং কাজ শিখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনসহ নানা ভিডিও তৈরি করে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায়।

৮. ওয়েব ডিজাইনিং: বর্তমানে ব্যাপকহারে মানুষ অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। তাই সিএসএস, এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট এর কাজ জানা থাকলে ঘরে বসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করা যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post