করের শ্রেণীবিভাগ |
Single Tax:
If a country imposes a single tax on all its citizens, it is called a single tax. For example, to tax only the income of the citizens of a country or to tax the property. Meaning the tax base here is just one. If tax is levied on any one basis, re-tax cannot be levied on any other basis. Although there is no such tax in the world today.
Multiple Taxes:
This tax system is the complete opposite of a single tax. In this case, the tax base is more than one issue. Taxes are levied on multiple bases. Such as- income tax on income, wealth tax on assets, value added tax, excise duty, supplementary tax etc. Here the citizens of the country are taxed on different grounds, resulting in higher taxes. By which the socio-economic development of the country is possible.
Direct Tax:
If a tax is levied on a person and he has to bear the tax burden, then that tax is called direct tax. This means that the tax that falls on the same person or organization is called direct tax. In the case of direct tax, the apparent and final burden of the tax has to be borne by the taxpayer. Such as- income tax, property tax, property tax, donation tax, death tax etc. The person on whom these taxes are levied has to bear the burden. In short, the tax burden which cannot be imposed on others but has to be borne directly by the taxpayer is called direct tax.
Indirect Tax:
If a tax is imposed on a person, if the tax burden of that person can be imposed on another, it is called indirect tax. In the case of indirect taxes, the person on whom the tax is levied may impose the burden of the tax on another person.
In the case of indirect taxes, taxation and taxation fall on different people. In this case, the taxpayer bears the tax, but the tax is borne by another person. Such as sales tax, excise duty, entertainment tax etc.
For example, even if the government collects sales tax from the seller, the seller does not actually pay the tax. The seller collects the tax money from the buyers by increasing the price of the goods. In this case, even if the tax falls on the seller, the tax has to be borne by the buyer.
Therefore, in the case of indirect taxes, the primary tax burden falls on the seller, but the final tax burden is borne by the buyer.
Proportional tax:
If all levels of income are taxed at the same rate, it is called proportional tax. Everyone has to pay tax at the same rate regardless of their income. The tax rate is the same for everyone. For example, if the tax rate is 10 percent, he whose income is 1,000 rupees will pay 100 rupees tax and whose income is 5,000 rupees he will pay 500 rupees tax. In the case of proportional taxation, the tax rate does not change in the context of change in property or income. However, the amount of total tax varies.
Progressive Tax:
The method by which the tax rate increases as the tax base increases is called the progressive tax system. In other words, the tax system which follows the principle of increasing the rate of tax from higher income is called progressive tax system.
Declining tax:
The lower the tax rate, the lower the tax rate as the amount of income increases. In this system, those whose income is less have to pay more tax at a proportional rate. This means that the tax levied on daily necessities is declining. For example, if tax is levied on onion, rich and poor have to pay equal tax. However, the richer the person, the higher his income, so he pays less tax in proportion to his income.
একক কর:
যদি কোন দেশ তার সকল নাগরিকের ওপর একটিমাত্র কর আরোপ করে তবে তাকে একক কর বলে। যেমন- কোন দেশের নাগরিকদের ওপর শুধুমাত্র আয়ের ওপর কর ধার্য করা বা সম্পদের ওপর কর ধার্য করা। অর্থা এখানে করের ভিত্তি মাত্র একটি। যে কোন একটি ভিত্তির ওপর কর ধার্য করা হলে অন্য কোন ভিত্তিতে পুনরায় কর ধরা যাবে না। যদিও বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের করের কোন অস্তিত্ব নেই।
বহুবিধ কর:
এ কর ব্যবস্থা একক করের সর্ম্পূণ বিপরীত। এ ক্ষেত্রে করের ভিত্তি একাধিক বিষয় হয়ে থাকে। অর্থা একাধিক ভিত্তির ওপর নির্ভর করে কর ধার্য করা হয়। যেমন- আয়ের ওপর আয়কর, সম্পদের ওপর সম্পদ কর, মূল্য সংযোজন কর, আবগারী শুল্ক, সম্পূরক কর ইত্যাদি। এখানে দেশের নাগরিকদের উপর বিভিন্ন ভিত্তিতে কর আদায় করে থাকে, ফলে করের পরিমাণ বেশি হয়। যা দ্বারা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়।
প্রত্যক্ষ কর:
কোন ব্যক্তির ওপর কর ধার্য করা হলে যদি করের বোঝা তাকেই বহন করতে হয় তাহলে সে করকে প্রত্যক্ষ কর বলা হয়। অর্থা যে করের করঘাত ও করপাত একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়ে তাকে প্রত্যক্ষ কর বলে। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে করের আপাতভার ও চূড়ান্তভার করদাতাকেই বহন করতে হয়। যেমন- আয়কর, সম্পদের ভার, সম্পত্তি কর, দান কর, মৃত্যু কর ইত্যাদি। এসব কর যার ওপর ধার্য করা হয় তাকেই করভার বহন করতে হয়। সংক্ষেপে বলা যায়, যে করের বোঝা অন্যের ওপর চাপানো যায় না বরং করদাতাকেই সরাসরি বহন করতে হয় তাকে প্রত্যক্ষ কর বলে।
পরোক্ষ কর:
কোন ব্যক্তির ওপর কর ধার্য করা হলে সে ব্যক্তির করের বোঝা যদি অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া যায় তাকে পরোক্ষ কর বলে। অর্থা পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির ওপর কর ধার্য করা হয় সে ব্যক্তি উক্ত করের বোঝা অন্য ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দিতে পারে।
পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে করঘাত এবং করপাত ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ওপর পড়ে। এক্ষেত্রে করদাতা করঘাত নিজে বহন করলেও করপাত অন্য লোক বহন করে। যেমন- বিক্রয় কর, আবগারি শুল্ক, প্রমোদ কর ইত্যাদি ।
উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, বিক্রয় কর বিক্রেতার নিকট থেকে সরকার আদায় করলেও প্রকৃতপক্ষে বিক্রেতা এই কর দেয়া না। বিক্রেতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে করের টাকা ক্রেতাদের নিকট থেকে আদায় করে নেয়। এক্ষেত্রে করঘাত বিক্রেতার ওপর পড়লেও করপাত ক্রেতাকেই বহন করতে হয়।
সুতারাং পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে করের প্রাথমিক ভার বিক্রেতার ওপর পড়লেও করের চূড়ান্ত ভার ক্রেতাকেই বহন করতে হয়।
সমানুপাতিক কর:
সকল স্তরের আয়ের ওপর যদি একই হারে কর ধার্য করা হয় তবে তাকে সমানুপতিক কর বলে। অর্থা আয় যাই হোক না কেন সকলকে একই হারে কর দিতে হবে। করের হার সবার জন্য সমান। যেমন- করের হার শতকরা ১০ টাকা হলে যার আয় ১,০০০ টাকা তিনি কর দেবেন ১০০ টাকা এবং যার আয় ৫,০০০ টাকা তিনি কর দেবেন ৫০০ টাকা। সমানুপাতিক করের ক্ষেত্রে সম্পত্তি বা আয়ের পরিবর্তন প্রেক্ষিতে করের হারের পরিবর্তন হয় না। তবে মোট করের পরিমাণে পরিবর্তন হয়।
প্রগতিশীল কর:
যে পদ্ধতিতে করের ভিত্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে কর হার বেশি পরিমান বৃদ্ধি পায় সে পদ্ধতিকে প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে কর ব্যবস্থায় উচ্চস্তরের আয় হতে ক্রমবর্ধমান হারে কর আদায় করার নীতি অনুসরন করা হয় তাকে প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলে।
অধোগতিশীল কর:
আয়ের পরিমান যত বৃদ্ধি পাবে করের হার ততই কমবে এই পদ্ধতিতে অধোগতিশীল কর ব্যবস্থা বলে। এই ব্যবস্থায় যাদের আয়ের পরিমাণ কম তাদেরকে আনুপাতিক হারে বেশি কর দিতে হয়। অর্থা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর ধার্যকৃত কর অধোগতিশীল। যেমন- পেঁয়াজের ওপর কর ধার্য হলে ধনী ও দরিদ্র সকলের সমপরিমণে কর দিতে হয়। কিস্তু ধনী ব্যক্তির আয় বেশি বলে সে আয় অনুপাতে কম কর প্রদান করে।
Post a Comment