কোম্পানী বা কর্পোরেট সত্ত্বা বলতে কি বুঝায়? |
অষ্ঠাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হতে শুরু করে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হলে শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। এমতাবস্থায় কতিপয় সীমাবদ্ধতার জন্য একমালিকানা কারবার ও অংশীদারী কারবারের পক্ষে বৃহদায়তন পণ্য দ্রব্যাদির উতপাদন ও বণ্টন কার্য পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে অধিক মূলধন, সীমাবদ্ধ দায়, দক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং চিরন্তন অস্তিত্বের সুবিধা যুগোপযুগী ব্যবসায় সংগঠন হিসাবে যৌথ মূলধনী কারবার বা কোম্পনীর উদ্ভব ঘটে।
১৯১৬ সালে “ভারতের কোম্পনী আইন-১৯১৩” পাশের মধ্য দিয়ে এ উপমহাদেশে কোম্পানী আইন পুর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে ১৯১৩ সালের কোম্পনী আইন সামগ্রিকভাবে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ৫ম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে কোম্পানী আইন ১৯৯৪ উথাপিত হয় এবং পাশ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের যৌথ মূলধনী কোম্পনীরসমূহ কোম্পনী আইন ১৯৯৪ দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
১৯১৩ সাল বা ১৯৯৪ সালের কোম্পনী আইনে যে কোন বিধিবদ্ধসংস্থাকে কোম্পনী বলা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশে কোম্পানী আরো ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এছাড়াও নিম্নলিখিত প্রতিষ্টানগুলো কোম্পনীর অর্ন্তভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
ক. দেশের প্রচলিত আইনে গঠিত কোন যৌথ সংস্থা বা প্রতিষ্টান।
খ. রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক বীমা শিল্প ও বানিজ্য সংগঠন বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্টান।
গ. নিবন্ধিত হোব বা না হোক এমন কোন বৈদেশিক সংস্থা যাকে জাতীয় রাজর্স্ববোর্ড সাধারণ বা বিশেষ আদেশ বলে বর্তমান অধ্যাদেশের জন্য কোম্পানী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
Post a Comment