কম্পিউটারের প্রকারভেদ
এনালগ কম্পিউটারঃ
এনালগ কম্পিউটার কাজ করে পরিমাপন পদ্ধতিতে। যেমন- বিদ্যুতের তারের ভোল্টেজের ওঠা নামা, কোনো পাইপের ভেতরের বাতাস বা তরল পদার্থের চাপ কম বেশি হওয়া, বাতাসের প্রবাহ ও চাপ পরিবর্তিত হওয়া ইত্যাদি।
ডিজিটাল কম্পিউটারঃ
ডিজিটাল কম্পিউটার কাজ করে প্রতীকী সংখ্যার মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনেস্ট্রাকশনের মধ্য দিয়ে। বাইনারি কোড অর্থাৎ ভোল্টেজের উপস্থিতি শনাক্ত করে এর মাধ্যমে কাজ করে। কাজের ক্ষমতা এবং আকারের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত। যেমন-
১. মাইক্রো কম্পিউটারঃ
মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে ছোট আকারের কম্পিউটার। একজন ব্যক্তি একটিমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। অফিস আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত প্রয়োজন ইত্যাদি সব ধরনের কাজে মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা হর হামেশা যে কম্পিউটার ব্যবহার করছি এগুলোই মাইক্রো কম্পিউটার। পেন্টিয়াম-১, থেকে ৪ পযর্ন্ত, বর্তমানে জনপ্রিয় আইবিএম কম্পিউটার বা অ্যাপেল ম্যাকিনটোস এর ম্যাক পাওয়ার পিসি বা জি-৫ মজেল হচ্ছে জনপ্রিয় মাইক্রো কম্পিউটার। একে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বা বিজনেস কম্পিউটারও বলা হয়। একটি ডেক্সটপ এবং অন্যটি পোর্টেবল। ডেক্সটপ টেবিলে রাখা হয় এবং স্থানান্তরযোগ্য নয়। যদি কয়েকটি ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়, তবে প্রধান কম্পিউটারটিকে সার্ভার বা ডোমেইন বলে এবং অন্যগুলোকে ওয়ার্কস্টেশন বলে।
২. মিনি কম্পিউটারঃ
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে এর কাজের ক্ষমতা ও কাজের গতি অপেক্ষাকৃত কম। মেইনফ্রেম ও মিনি কম্পিউটারের মধ্যে কাজের ধরন ও প্রক্রিয়াগত দিক থেকে কোনো পার্থক্য নাই। উদাহরণঃ আইবিএম এস/৩৪, আইবিএম এস/৩৬ ইত্যাদি।
৩. মেইনফ্রেম কম্পিউটারঃ
এটি সুপার কম্পিউটারের চেয়ে তুলনামূলক কম শক্তিশালী। অফিস আদালত, বড় বড় শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ ও জটিল তথ্য ব্যবস্থ্যপনার কাজে মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। উদাহরণঃ আইবিএম ৪৩০০, ইউনিভাক ১১০০, সাইবার ১৭০ ইত্যাদি।
৪. সুপার কম্পিউটারঃ
সুপার কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার। ব্যক্তিগত পযায়ে এসব কম্পিউটার ব্যবহৃক হয় না, কেবল সরকারি বা খুব বড়ো ধরনের প্রতিষ্ঠানে এ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), আগারগাও, ঢাকাতে একটি সুপার কম্পিউটার রয়েছে। উদাহরণ- আমেরিকায় সাইবার-২০৫, জাপানের নিপ্পন কোম্পানির সুপারএসএক্সআইআই ইত্যাদি।
হাইব্রিড কম্পিউটারঃ
এটা ডিজিটাল ও এনালগ কম্পিউটারের কাজের প্রক্রিয়ার সাথে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়। এতে ডেটা গ্রহণ করে সংখ্যাং রূপান্তরিত করে ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতাল, ক্ষেপণাস্ত্র, নভোডান, আবহাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ কম্পিউটার ব্যবহৃত করা হয়।
Post a Comment